পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত

মোঃ রাসেল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাদারটেক পুরাতন কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ এর পৃষ্ঠপোষকতায় মাদারটেক পুরাতন কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ কমিটির সহযোগিতায় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবারও জশনে জুলুস বের হয়।

ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জুলুসটি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সবুজবাগ থানাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রদক্ষিন করে পুনরায় মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর আগে অনুষ্ঠিত ১২ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ বার্ষিক আজিমুশ্বান ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী মাহফিলে প্রিয় নবী (দ.) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন আগত অতিথি ও প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম।

সভাপতি হযরত মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার ফিরে এলো মাহে রবিউল আউয়াল এবং আমরা ফিরে পেলাম সেই খুশির দিন পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১২ই রবিউল আউয়াল শরিফ। আমরা এই দিনকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, সহী বুখারী শরিফ সহী মুসলিম শরিফের আদর্শে এসেছে রাসূলে পাককে নিজের প্রাণের চাইতে বেশি ভালো না বাসলে কোনো মুমিন ঈমানদার হতে পারে না. সেজন্যেই ঈমানের দাবী সকল মুসলমান নবীজিকে আপন জানের চাইতেও বেশি ভালোবাসবে এটাই কোরআন সুন্নাহর উপসংহার কথা. আমরা অনুরোধ জানাবো, সকল মুসলমানকে যারা এখনও বিভিন্ন বিভ্রান্ত ওস্তাদের শিক্ষা গ্রহণ করে নবীজির বিরুদ্ধে অবস্থান করছে, বিরুদ্ধে কথা বলছে এদেরকে অতি তাড়াতাড়ি তওবা করে ফিরে আসার জন্য আমরা আহ্বান জানাবো।

তওবা করে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর পক্ষে এসে নিজেদের ঈমানকে মজবুত করার জন্য আমরা সবিনয় অনুরোধ করবো। কারণ ঈমান হলো আখিরাত ও নাযাতের প্রধান হাতিয়ার। ঈমান যদি না থাকে কোনো আমল দ্বারা মানুষ আখিরাতের নাযাত পেতে পারে না। আর নবীর ভালোবাসাই হলো সেই ঈমানের মূল কথা। রাসূলে পাকের শুভ আগমন ও শুভ জন্মের দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলা হয়।

সর্বশেষ বাদ জুম্মা সমাপনী বক্তব্য, আখেরি মুনাজাত ও তোবারক বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে।

Facebook Comments