ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলেছেন, এ দুই আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম থাকছে; থাকবে কারিগরি দলও। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরণের ত্রুটি মোকাবেলায় অতিরিক্ত ইভিএমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঢাকা-৫: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসন। উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান। এই আসনের মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮৬৪টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। এদের মধ্যে এতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন নারী ভোটার।

নওগাঁ-৬: জেলার রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনটি। গত ২৭ জুলাই এই আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন হেলাল, বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আত্রাই উপজেলার সন্তান আলহাজ শেখ মো. রেজাউল ইসলাম রেজু আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার ইন্তেখাব আলম রুবেল।

রাণীনগর উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৪৯টি। পুরুষ ভোটার ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৭৪ হাজার ৭২২ জন।
আত্রাই উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৫৫টি। পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৮৯৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৭৮ হাজার ২৪৫ জন।

দুই উপজেলায় ১০৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭২১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৪৪২ জন পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনছার বাহিনী নিয়োজিত থাকছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনছার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করছি ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Facebook Comments