টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে: তথ্যমন্ত্রী

বর্তমানে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নির্ধারণ করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়,যারা এ কাজটি করে আসছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

সোমবার (২২ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট বা টিআরপি কোনো চ্যানেল বা অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা নির্দেশ করে।

মন্ত্রী বলেন, এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে,কে তাদেরকে লাইসেন্স দিয়েছে-সেটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

তিনি বলেন, আগে যেমন ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল সামনের দিকে রাখার জন্য, এমনকি টিভি চ্যানেল যাতে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সেজন্যও নানা ধরনের অশুভ প্রতিযোগিতা ছিল, অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া হতো, সেটি আমরা বন্ধ করেছি। তেমনি আমরা জানতে পেরেছি, যে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা আছে, সেই সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে এটকো (অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসব। কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কোন টেলিভিশনকে কত বেশি দেখে, সেটি বলার বৈধ কোনো এখতিয়ার রাখে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়েব সিরিজ, সিনেমা বা যেকোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়।আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে,আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে।এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।

বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনওই সমীচীন নয়।আইন অনুযায়ীও সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত এ সংক্রান্ত আইনানুযায়ী এ ধরনের অশ্লীলতা প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড।

তিনি বলেন, যেসব সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধরনের ওয়েজ সিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য আদৌ কোনো লাইসেন্স আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে এই অবৈধ কাজের জন্য অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর লাইসেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধরনের অশ্লীল জিনিস প্রচার করাও দণ্ডনীয় অপরাধ। সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Facebook Comments