আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সবাইকে আশ্বস্ত করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, চীন আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকেনি; আমাদের ছাউনি অক্ষত আছে। এক ইঞ্চি জমিও কবজা করতে পারেনি। বরং ভারতের জওয়ানেরা আগ্রাসী চীনাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীন যা করেছে, তাতে সারা দেশ আহত, ক্ষুব্ধ। ভারতীয় সেনা জল, স্থল ও অন্তরিক্ষ সব দিক দিয়ে দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে। চীনকে কূটনৈতিক স্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো পদক্ষেপই নিতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি জানান, দেশ আমাদের কাছে সবার আগে। কোনো চাপের কাছে ভারত মাথা নোয়াবে না। যা প্রয়োজন, সব করবে। সেনারা সীমান্ত রক্ষায় পূর্ণ ক্ষমতা রাখে। তাদের সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গোটা দেশ এই সংকটে এক। এই একতা গোটা পৃথিবীর কাছে বার্তাবহ।
বৈঠকে প্রথম বক্তা ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এই বৈঠক আরও আগে ডাকার দরকার ছিল। লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশের পর সরকারের উচিত ছিল বৈঠক ডাকা। দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই পাথরের মতো থাকবে গোটা দেশ। সামরিক বাহিনীর কর্মদক্ষতার প্রতি বিশ্বাস আছে কংগ্রেসের।’
বৈঠক শুরুর আগেই শুরু হয় বিতর্কের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব আমন্ত্রিত না হওয়ায়। তেলেঙ্গানার এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসিও সর্বদলীয় ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপির শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি।