করোনার মধ্যে কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তলিয়ে গেছে ফসল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে বাড়ছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। শনিবার সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া শেষ খবর পর্যন্ত এ নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৫ দশমিক ৭৩ ও চিলমারী পয়েন্টে ২৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ০৯ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি বাড়লে গংগাধর এবং সংকোষ নদীসহ দুধকুমার নদীতেও বাড়ে। ফলে এসব নদীতে পানি বাড়ছে সমান তালে।

এছাড়াও ধরলা নদীর পানিও বাড়ছে কিছুটা থেমে থেমে। জেলার ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, গংগাধর ও দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। নিমজ্জিত হয়েছে পাট, ভুট্টা, সবজি ক্ষেত ও বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে আউশ ধান ও কাউন। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গংগাধরের তীরবর্তী অঞ্চল কচাকাটা ইউনিয়নের কাইয়ের চর, জালির চর, বল্লভের খাস ইউনিয়নের ইসলামের চর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের নারায়নপুর, নুনখাওয়া, যাত্রাপুরের নিম্ন চরাঞ্চল ডুবে গেছে।

চরের বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ির চারপাশে পানি ভরে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িতে পানি উঠতে পারে। চার পাশে পানি উঠায় নৌকা এখন যাতায়াতের মাধ্যম তাদের। তারা জানান, চলতি আউশ মৌসুমের বোন ধান এবং কাউন পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের ইর ধানও পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।এদিকে পাট এবং সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার এবং কালজানি নদ-নদীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, পানি বাড়লেও আপাতত বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

Facebook Comments