অর্থনীতি ডেস্ক
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।এ বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক ও কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়তে পারে এসব পণ্যের দাম।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে সব ধরনের বিড়ি ও সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়তে পারে। একই কারণে বাড়তে পারে মোবাইলে কথা বলার খরচও।
কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূর্ক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে গাড়ির খরচ বাড়বে।
আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগে ছিল পাঁচ শতাংশ। ফলে আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে।প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রসাধনী সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
সিরামিকের সিল্ক বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দাম বাড়তে পারে মধুর। মধুর বাল্কের ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ, চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারে ভ্রমণের ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিটের ওপর ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৫ শতাংশ। চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারের ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, রঙ, বিদেশি টিভি, সোডিয়াম সালফেট, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, আলোকসজ্জা সামগ্রী, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, বার্নিশ, বাইসাইকেল, আমদানি করা অ্যালকোহল, শ্যাম্পু, জুস, ইন্টারনেট খরচ, আমদানি করা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, চকলেট, বিদেশি মোটরসাইকেল, বডি স্প্রের ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে।