করোনার দুর্দিনে বন্ধ থাকবে এনজিও কিস্তির টাকা

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :

করোনা দুর্দিনে আবারও জীবিকা হারানো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উখিয়া উপজেলার ইউএনও নিকারুজ্জমান। এবার তিনি সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জুন মাস পর্যন্ত ঋণগ্রহীতা সর্বসাধারণকে এনজিওর কিস্তির কোন টাকা না দিতে অনুরোধ করেছেন। উল্লেখিত সময়ে কেউ এলাকায় গিয়ে জোরপুর্বক ঋণের টাকা চাইলে তাৎক্ষনিক সেই খবর তাকে (ইউএনও) জানাতে বলেছেন।

বুধবার (৩ জুন) উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সরকারি প্রচারমাধ্যম ফেসবুক ফেইজে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা উখিয়া উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকের (বিশেষ করে ঋণগ্রহীতা) উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন।

মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন না- সরকারের এমন নির্দেশনা আগেই এসেছিল। তবে অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় এনজিওগুলোও ঋণ আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এমন অবস্থায় উখিয়া উপজেলা মো. নিকারুজ্জমান জানিয়েছেন, জুন মাসেও কিস্তি আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহীতাকে জোর করতে পারবে না এনজিওগুলো।

উখিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এনজিও কর্মীরা ঋন সংগ্রহ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন এনজিও কর্মী বাড়াবাড়ি করলে ইউএনও মহোদয়ের লিখিত অনুমোদন লাগবে এমন উত্তর দিতে বলেন।

ক্ষুদ্র ঋণের সুদ আদায় কার্যক্রমে ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল আছে। কোন এনজিও’র কাছে এ পরিপত্র ভিন্ন অন্য কোন পরিপত্র থাকলে তা আমাদের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ঋণের সুদ আদায় কার্যক্রম ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিধায় কেউ যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ সময়ে সুদ আদায়ের চেষ্টা করে তবে তা প্রশাসনের নজরে আনতে হবে এবং আদায়কারীদের থানায় সোপর্দ করতে হবে।তবে এ সময়ে ঋণ বিতরণে বাধা নেই। আর কেউ স্বেচ্ছায় কিস্তি পরিশোধ করতে চাইলে তা করতে পারবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা এবং নিম্নআয়ের মানুষের আয় ও কাজের পরিধি কমে যাওয়ায় উখিয়া উপজেলার সব এনজিও/ব্যাংক সমবায় সমিতির ঋণের কিস্তির টাকা আদায় সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। আগামি জুন/২০২০ পর্যন্ত টাকা আদায়ের নির্দেশনা না মেনে টাকা আদায় করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জুন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না উল্লেখ করে গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।

এরপরও ওই প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখা দিয়ে কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছিল। বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য গত ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি।

এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না।

দেশবাংলাবিডি২৪/ও

Facebook Comments