প্রেমের টানে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন তপন বিশ্বাস

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের বামনিয়া গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে তপন বিশ্বাস হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। নিয়মিত বিষ্ণু পূজা দিতেন সে। সেই হিন্দু কি-না বিয়ে করে মুসলিম হয়ে গেলেন।

তপন বিশ্বাস থেকে তিনি হয়ে গেলেন মোঃ শাহ আলম মীনা। অতঃপর মুকসুদপুর উপজেলার মোচনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন এই মানুষটি।তার সাহস ছিল আকাশসম ভালোবাসার জন্য সে সব কিছু ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন।

ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়, এক ও অদ্বিতীয়। ইসলাম মানব জাতিকে সঠিক পথ দেখায়। সে ইসলাম ধর্মের আচার আচরণ আর রীতি নিতি দেখে মুসলীম হয়েছেন বলে যানান তিনি।

গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ত্বপন বিশ্বাসে একই গ্রামের বশার মীনার মেয়ে (হাজেরা আক্তার) এর প্রেমে পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেছেন।

২০ মে বুধবার গোপালগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরে ২৩ মে শনিবার জনৈক হাফেজের মাধ্যমে কালিমা শরীফ পাঠ করে মুসলীম হয়।পরবর্তীতে ২৪ মে রবিবার গোপালগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে শাহ আলম মীনা একই গ্রামের হাজেরা আক্তারকে কোর্ট ম্যারেজে করে বিয়ে করে। একই দিন রাতে মোচনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্যা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে তাকে আবার কালেমা পাঠ করান এবং স্থানীয়দের সাথে তাকে মুসলিম হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাজেরা আক্তার ও তপনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই মধ্যে উভয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তাই সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগে করে মুসলীম ধর্ম গ্রহণ করে।

এই বিষয়ে মোচনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, বিষয়টি মেয়ের বাবা ও তপন নতুন নাম শাহ আলম মীনা আমাকে অবগত করলে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় বারের মত তপন নতুন নাম শাহ আলম কে এলাকার ইমাম সাহেবকে ডেকে মুসলিম শরিয়া মোতাবেক পুনরায় কাজী ডেকে মেয়ের বাবাকে হাজির রেখে ও তার সম্মতিক্রমে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

দেশবাংলাবিডি২৪/প্রম

Facebook Comments