নির্যাতনের মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জবি শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি :

যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত স্বামী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে গত মার্চ মাসে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন, অভিযুক্তরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে আটক করছেন না এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী পূর্বপাড়া গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে আফরোজা আক্তার ও ঢাকা উদ্ভাস কোচিংয়ে চাকুরিরত শাহাদাত হোসেন ২০১৭ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করত শাহাদাত। টাকা না দেয়ায় স্ত্রী আফরোজাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন তার স্বামী শাহাদাত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বসত ঘরে আটকে রেখে যৌতুকের দাবিতে আবারও আফরোজাকে নির্যাতন করে শাহাদাত। খবর পেয়ে আফরোজার বাবা আবু তালেব এসেও মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন। পরে তিনি পুলিশের সহায়তা নেন। এ ঘটনায় আফরোজা বাদী হয়ে ২৬ মার্চ স্বামী শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে বাকী ৫ জন জামিন নিলেও শাহাদতের জামিন হয়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমাকে ফোন দিয়ে শাহাদাত ও তার ভাই মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমি থানায় বিভিন্ন সময়ে জানিয়ে আসলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। গত বৃহস্পতিবারও থানায় গিয়ে আমার নিরাপত্তার বিষয় জানিয়েছি কিন্তু তারা নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু বলে না। আমি থানায় গিয়ে ঘন্টা ধরে বসে থাকলে ওনার দেখা পাই না। উনি আমার ফোন রিসিভ করেন না। মেসেজ দিলেও সদুত্তর পাই না।

তিনি আরও বলেন, আমি নিরাপত্তার জন্য জিডি করতে গিয়েও আমাকে জিডি করতে দেয়নি তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সাইফুল ইসলাম।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই সাইফুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা তদন্ত হচ্ছে, আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। তার স্বামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে সড়িষাবাড়ি থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা ক‌রোনা নি‌য়ে ব্যস্ত আছি। সময় হলে আমরা সব ব্যবস্থা নেবো। এখন আমি নামাজ পড়তে যাচ্ছি, পরে কথা বলবো। একথা বলে তিনি ফোন রেখে দেন।

Facebook Comments