করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা

 : দেশবাংলা বিডি ২৪.কম

করোনা ভাইরাস মহামারীতে সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর। করোনা উপদ্রুত বিভিন্ন দেশে যেসব স্থানে মানুষকে যেতেই হচ্ছে সেসব স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে এবং যতটা সম্ভব ময়লা-আবর্জনামুক্ত রেখে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
সরকারি অফিসসহ সব অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণার পরে যখন সবাই বাড়িতে অবস্থান করছেন তখন কোনো ধরনের নিরাপত্তা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই সেই বাড়ি ও রাস্তার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী সাব্বির বলেন, সবার ছুটি হবে, কিন্তু আমাদের কোনো ছুটি নেই। মাস্ক কেন পরেন না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গরিবের আবার মাস্ক। ময়লা পরিষ্কার করেই কূল পাই না। কে দিবে মাস্ক ?
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ডিএনসিসি এদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এখনো বিশেষ কোনো সুরক্ষা পোশাক দেওয়া হয়নি কিংবা জীবাণুনাশক ব্যবহারসহ তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধ করতে বিশেষ কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার মালিবাগ রেলগেট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন- মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াই ময়লা সংগ্রহ ও পরিষ্কার করছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। পাশাপাশি তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম।
এই বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করেন, তাদের জন্য মাস্ক, বুটসহ অনেক সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা যে ডিমান্ড দেই তা ফান্ড স্বল্পতার কারণে একসাথে সরবরাহ করা যায় না।যতটুকু পারা যায় তা সরবরাহ করি।
তিনি বলেন, অনেক সময় তারা নিজেরাও এইগুলো ব্যবহার করে না। ডিমান্ড দেয়া আছে, সামনে বর্ষা মৌসুমে তাদের জন্য রেইনকোর্টের ব্যবস্থা আমরা করছি। পাশাপাশি তাদেরকে কোনো প্রশিক্ষণের আওতায় আনা যায় কিনা তাও দেখছি।

শেয়ার করুন

Facebook Comments