রাজধানীতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে গাড়ি চলাচল!

নিজস্ব প্রতিবেদক দেশবাংলা বিডি ২৪.কম :

মোঃ রাসেল :

সোমবার রাজধানীর রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। রাস্তায় উল্লেখযোগ্য হারে রিকশাও চলছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১০টি নির্দেশন পাঠান। এতে বলা হয়, অনেক মানুষের রান্না-বান্নার ব্যবস্থা নেই, তাই তাদের জন্য খাবার হোটেল, বেকারি খোলা থাকবে। এসব হোটেল-বেকারিতে কর্মরতদের সড়কে চলাচল করতে দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য পণ্যের দোকান খোলা থাকবে এবং এসব দোকানে কর্মরতরা কাজে যোগ দিতে পারবেন। হোটেল থেকে গ্রাহকদের খাবারের পার্সেল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেউ হোটেলে বসে খেতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় যেকোনও নাগরিক একা যেকোনও মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।


ডিএমপি থেকে এই সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসার পর সোমবার রাজধানীর রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। রাস্তায় উল্লেখযোগ্য হারে রিকশাও চলছে।
শান্তিনগর মোড় ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে আজ অনেক মানুষই বের হচ্ছেন। এই কয়দিন মানুষের চলাফেরা না থাকলেও আজ অনেকেই বেরিয়েছেন বাজার করতে।শিথিলতার ঘোষণা আসার পর কিছু দোকানও খুলেছে। দশ দিন ছুটির চতুর্থ দিন রাজধানীতে গাড়ি চলাচল কিছুটা বেড়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল ছিল।গণপরিবহনের ওপর লকডাউন আরোপের প্রথম চার দিনের তুলনায় গতকাল এসব গাড়ি বেশি ছিল। রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ রেলগেট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলছে।ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন চলাচল বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ করা হয়েছে, গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত।অ্যাম্বুলেন্স, জরুরিসেবা, সংবাদকর্মী, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহৃত এবং পণ্যবাহী গাড়ি আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় সোমবার রাজধানীর সড়কগুলোতে তুলনামূলক গাড়ি বেড়েছে। বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি।
এছাড়া কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে ভাড়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা ও প্রাইভেটকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বাসা থেকে বের হওয়ায় মানুষ ভাড়ায় এসব পরিবহনে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়েছে।মানুষ যদি সচেতন না হয়ে এখনই রাস্তায় চলাচল শুরু করে তাহলে এই সংক্রমণ আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তাই আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা মেনে সচেতন হয়ে চলতে হবে। মানুষ সচেতন না হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে জনসমাগম করলে বাংলাদেশ বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।

Facebook Comments