সকালে সিদ্ধান্ত, দুপুরে ঘোষণা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দল ঘোষণার আগে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছিলেন ওয়ানডেতে মাশরাফি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। পাশাপাশি ধারণা দিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে মাশরাফির অধিনায়ক হিসেবে শেষ সিরিজ।সিরিজ শুরুর পর অধিনায়ক মাশরাফির দিকে অনেক প্রশ্ন আসছিল। সত্যি-ই কি অধিনায়ক হিসেবে শেষ সিরিজ খেলবেন? জিম্বাবুয়ের পর আর অধিনায়কত্ব করবেন না?
মাশরাফি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। বলেছিলেন, ‘সময় হলে জানাবো।’ সেই সময়টা এল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের আগে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার সকালে। দুপুরেই আসল ঘোষণা।‘অত ভাবাবাবি কিছু করিনি। বাইরের সবাই চাচ্ছে, আলোচনা করছে ২০২৩ বিশ্বকাপর জন্য নতুন অধিনায়ক আনার সময় হয়েছে। আমারও মনে হয়েছে আমার ভাবা উচিত। তাই আজ অতোটা ভাবিনি (সিদ্ধান্ত নিতে)। সকালেই মনে হয়েছে দ্যাটস এনাফ। কাল (বুধবার) পর্যন্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম। সত্যি বলতে আজ সকালেই মনে হয়েছে দ্যাটস এনাফ।’
অধিনায়কত্ব বরাবরই সম্মানের। বরাবরই বাড়তি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করেছেন মাশরাফি। দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত কতোটা কঠিন ছিল মাশরাফির জন্য?
হাসিমুখে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক বললেন, ‘অধিনায়কত্ব বিষয়টিকে আমি কখনোই গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলছি, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি এটা অনেক বড় সম্মানের। অধিনায়কত্বের যে বিষয়টি, বিসিবি আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কখনো হয়েছে। কখনো হয়নি। সিদ্ধান্ত তো নিতেই হবে আসলে। সামনে ২০২৩ বিশ্বকাপ আসছে। সামনের পরিকল্পনা তো আমাদের করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সঠিক সময়। যে নতুন কেউ আসুক। সে দলকে এখন থেকেই গুছিয়ে নেক। ৮৭ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। পঞ্চাশ ভাগেরও বেশি তার সফলতা। জয়ের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে প্রয়োজন মাত্র একটি জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষটা রাঙাতে পারলে মাশরাফি নিজেকে নিয়ে যাবেন অনন্য উচ্চতায়। সতীর্থরা তাকে জয় উপহার দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

শেয়ার করুন

Facebook Comments