করোনা প্রতিরোধে অন্তঃসত্ত্বার যত্ন

অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী
সভাপতি, অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ

এই মহামারি প্রতিরোধে পরিবারের অন্যদের পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও নবজাতকের দিকে দিতে হবে বিশেষ দৃষ্টি।

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই মহামারি প্রতিরোধ করতে পরিবারের অন্যদের পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও নবজাতকের দিকেও দিতে হবে বিশেষ দৃষ্টি। এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা উচিত।

১. অন্তঃসত্ত্বা নারী খুব প্রয়োজন না হলে এ সময় ঘরের বাইরে যাবেন না। মার্কেট, বাজারের মতো লোকসমাগম হয় কিংবা কোনো সমাবেশে তো মোটেই যাওয়া যাবে না।

২. বাইরে থেকে ফিরে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকেই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। বাড়িতে থাকলেও বারবার হাত ধুতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীও এর বাইরে নন।

৩. হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। টিস্যু অথবা রুমাল কিংবা কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচি-কাশি দিতে হবে এবং ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিনে টিস্যু ফেলতে হবে। রুমাল বা কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. জ্বর, হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। করমর্দন বা কোলাকুলি করবেন না। পরস্পরের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে।

৫. পরা কাপড় প্রতিদিনই ধুয়ে ফেলতে হবে।

৬. খাবার ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে মাছ-মাংস ও ডিম ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। কাঁচা দুধ ও ডিম খাওয়া যাবে না।

৭. ফল বা সালাদ ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।

৮. পরিবারের কেউ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে কারও সংস্পর্শে আসতে দেওয়া যাবে না।

৯. বিদেশফেরত কেউ এলে ১৪ দিন পর্যন্ত নিজ গৃহে কোয়ারেন্টিন অবস্থায় থাকতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসা যাবে না।

Facebook Comments