আজকের উন্নতির কারিগর তরুণ-তরুণীরাই আগামী দিনে উন্নতির কারিগর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের তরুণ-তরুণীরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তারাই হবে আগামীর উন্নতির কারিগর। তাই তাদের দেশপ্রেমের আদর্শ নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিশুদের জীবন গঠন করতে হবে।’
বুধবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে এমন সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অক্ষরজ্ঞানহীনতা থাকবে না। আর এর জন্য এখন থেকেই নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের কর্মদক্ষতা যেন বিকশিত হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার।’
প্রাধনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগে মায়েরা তাদের প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কথা কাউকে সহজে বলতে পারতো না। এ নিয়ে মায়েদের নানা সমস্যায় পড়তে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। বাংলাদেশে প্রায় ১৬ লাখ প্রতিবন্ধীকে আমরা মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেছি, যাতে তাদের কেউ অবহেলা করতে না পারে। এছাড়া যেসব প্রতিবন্ধী পড়াশোনা করছে, তাদের বৃত্তি দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিশু অধিকার নিশ্চিতে প্রতিবন্ধী আইন তৈরি করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিশু শ্রম নীতি তৈরি করেছি। শিশুরা এমন কেন ঝুঁকির কাজ করবে না যাতে তাদের স্বাস্থ্যের হানি হয়। আমরা শিশু নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

জাতির পিতার করে যাওয়া শিশু অধিকার আইনের আলোকেই তার সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা—সবদিকে যেন তাদের পারদর্শিতা গড়ে ওঠে, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতি জেলায় ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবসহ শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে।

Facebook Comments