বিপিএলে মাশরাফি-সাকিব খেলবেন একই দলে

তিনমাস বাদেই শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এরই মধ্যে সাকিব আল হাসানকে ঝাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দলে ভিড়িয়েছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু বিসিবি জানিয়ে দিয়েছে নতুন করে কাউকে দলে নেওয়ারই এখতিয়ার নেই কোন দলের।
এদিকে বলার অপেক্ষা রাখেনা, রংপুর এ প্লাস ক্যাটাগরির পারফরমার ও আগের দুইবারের অধিনায়ক মাশরাফিকে বাদ দিয়ে সাকিবকে নিতে আগ্রহী। সাকিবের সাথে কথা বার্তা চূড়ান্ত করে চুক্তিও সম্পন্ন।
এখন প্রশ্ন হলো, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যদি আলোচনার টেবিলে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির বা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন কিংবা দাবি যাই বলা হোক না কেন, তার প্রেক্ষিতে সত্যিই আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির তারকাকে দলে ভেড়ানোর দাবি মেনে নেয়; তখন আর ঢাকা ডায়নাইমাইটসে নয়, সাকিব হবেন রংপুরের। তাহলে মাশরাফি বিন মর্তুজার কি হবে? জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক কোথায় খেলবেন?
এ প্রশ্নেরই জবাব দিলেন রংপুর রাইডার্সের সিইও (প্রধান নির্বাহী) ইশতিয়াক সাদেক। তিনি জানালেন, বিপিএলের পরবর্তী আসরে মাশরাফি-সাকিব দুজনেই খেলবেন রংপুরের হয়ে।
ইশতিয়াক সাদেক বোঝানোর চেষ্টা করেন, মাশরাফি যেহেতু এখনো জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক, তাই তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়। মানে আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। কিন্তু তিনি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ালে হয়তো তাকে আর আইকন রাখা হবে না। আর তিনি তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলেন না। তাই এবার এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এ কারণেই তার মুখে এমন কথা, এমনকি মাশরাফি গত বছর থেকেই আইকন না থাকতে চেয়েছিল। কারণ সে টি-টোয়েন্টিতে নেই। বিপিএল যেহেতু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এথিক্যালি বা লজিক্যালি মাশরাফিকে আইকন রাখা যায় না। আইকন হবে নতুন কেউ, খুব প্রমিসিং। বোর্ড বলছে আমরা নিজেরাও জানি আমাদের দেশে সাতজন প্রপার আইকন খুঁজে বের করাই মুশকিল। সে হিসেবে মাশরাফিরও ইচ্ছা নাই আইকন থাকার। এবং এ বছরও আমি যেটা শুনেছি ওয়ানডে থেকে যদি সে অবসর নেয়, তবে আইকন থাকার কথা না তার। আমাদের পরিকল্পনায় কিন্তু মাশরাফিও রিটেনশনে পড়ে যায়। কিন্তু বোর্ড এখানে যদি নতুন নিয়ম আবার এনে দেয়!

Facebook Comments