কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করলেও কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় ১০ দিন ধরে পানিবন্দি সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা শহর এখন বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকায় বাঁধভেঙে পুরো উপজেলা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন, থানা, হাসপাতালসহ পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সব ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩শ’ পরিবারের সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ৪টি ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। জেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ হাজার ৬৪৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

Facebook Comments