যশোরে পুলিশে চাকরিপ্রাপ্তরা অধিকাংশই শ্রমিক

যশোরের উপশহর এলাকার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর ছেলে রায়হান ইসলাম। বাবা মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর হলো। চাকরির জন্যে রায়হান দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েছে। কিন্তু চাকরি মেলেনি। অবশেষে কোনো তদবির ছাড়াই পুলিশ কনস্টেবল পদে তার চাকরি হয়েছে।
যশোরের কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের হাবিবুল বাশার সুমন খুলনা বিএল কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছেন। নিজের লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে তিনি মাসের পনের দিন রাজমিস্ত্রির জোগালের কাজ করতেন। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়েছে সুমনেরও। অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত সুমন বললেন, কোথাও টাকা পয়সা দেয়ার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে বলেই তার চাকরি হয়েছে। চাকরি পেতে ১০৩ টাকা খরচ হয়েছে।
মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার আরও জানান, যশোর পুলিশ লাইন্সে গত ২২ জুন ১৯ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ৯৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১ হাজার ৬৯ জন। উত্তীর্ণরা ২৪ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন এবং পাস করেন ৩৫৪ জন। ২৬ জুন মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এদের মধ্যে থেকে ২২৩ জন চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। এদের মধ্যে ১৯৩ জনকে প্রাথমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে ও ৩০ জনকে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ১১৬ জন পুরুষ, ৫০ জন নারী, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৩ জন ও পুলিশ পোষ্য কোটায় ৪ জন।

Facebook Comments