রিফাত হত্যা: রিফাত ফরাজীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ন কবির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন সকালে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ নিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি এবং সন্দেহ হিসেবে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেফতাররা হলেন- মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজি (২৩), ৪ নম্বর আসামি চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)।
এছাড়া রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতাররা হলেন- নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) এবং রাফিউল ইসলাম রাব্বি।
গ্রেফতারদের মধ্যে চন্দন ও হাসান সাত দিনের এবং সাগর, সাইমুন ও নাজমুল পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আর রিফাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতকে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি ও ফুজেট দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া অভিযুক্ত তানভীর।
গত ২৬ জুন সকালের দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাতকে। পরে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি।

Facebook Comments