ডিআইজি মিজান আগাম জামিন চাইলেন

পুলিশ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আলোচিত-সমালোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিনি রবিবার এই জামিন চেয়েছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিআইজি মিজানের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান।
গত ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তাকে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক নারীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করা, বিয়ে গোপন করতে প্রভাব খাটিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা, টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করে ৬৪ টুকরো করা, ওই নারীর নামে ফেসবুকে অশালীন ছবি ছড়ানোর অভিযোগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সব শেষ দুর্নীতির মামলার তদন্ত নিজের পক্ষে নিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার মতো কাজের কথা তিনি নিজে সদর্পে ঘোষণা দেন। এরপর নতুন করে আলোচনা আসায় অবশেষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে এক নারীকে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠে ডিআইজির বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ওই বছরের শেষ দিতে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে নেয়া হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদরদপ্তর।২০১৮ সালের শুরুর দিকে সে প্রতিবেদন জমা পড়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু সোয়া এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
এ ছাড়া গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কার্যালয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিজানকে। অনুসন্ধানে মিজানুর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বিপুল সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। সোমবার ডিআইজি মিজান এবং তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। আলোচিত-সমালোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন এ ব্যাপারে বন্দরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments