ব্যাংক কার্ডের আমদানি শুল্ক বাড়বে ৪-৬ শতাংশ

ব্যাংকগুলো যেসব কার্ড আমদানি করে গ্রাহকদের ইস্যু করে তাতে প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ৪ থেকে ৬ গুণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক আরোপ করা হলে ইএমভি প্রযুক্তিভিত্তিক কার্ড আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৭০ টাকা। বর্তমানে এই কার্ডের আমদানি ব্যয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এই কার্ড আমদানিতে শুল্ক বসানো হয়েছে ৪ শতাংশ। আর কন্ট্যাক্টলেস কার্ডের আমদানি খরচ ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৫০০ টাকার বেশিতে।ট্যাপ অ্যান্ড গো পদ্ধতির এই কার্ডের আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে ৬ শতাংশ। গ্রাহকদের চাহিদার উপর নির্ভর করে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ কার্ড আমদানি করা হয়। দেশে বর্তমানে কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ বিলিয়নের বেশি।
বাজেটে আমদানি করা কার্ড তৈরির পণ্যগুলোর উপর নতুন করে ট্যারিফ প্রস্তাব করা হয়। ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড আমদানি প্রতি ০.৭০ মার্কিন ডলার, চিপ অ্যান্ড পিন কার্ড দুই মার্কিন ডলার এবং কন্টাক্টলেস কার্ড তিন মার্কিন ডলার ট্যারিফ প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে আমদানি করা কার্ডের কোনো ঘোষিত ট্যারিফ নেই।
ব্যাংকগুলোও একটি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সেই সময়ে কার্ডের উপর ট্যারিফ ৪ থেকে ৬গুণ বাড়ানো হলে ভোক্তারা কার্ড নিতে আগ্রহী হবে না বলে মনে করেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে দেশের ব্যাংক কার্ড আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লার্ক টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের হোসেন বলেন, শুল্ক আরোপ করা হলে ২০-২৫ টাকার একটি কার্ড আমদানিতে খরচ পড়বে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ট্যাপ অ্যান্ড গো কন্ট্র্যাক্টলেস কার্ডের আমদানি ব্যয় হবে ৫৫০ টাকার মতো।

Facebook Comments