বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায়: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের অবদান অনস্বীকার্য। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যগণ সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। সঙ্গত কারণে জনগণের নিকট সংসদ সদস্যগণ জবাবদিহি করে থাকেন। অন্য দিকে সংসদের কাছে সরকার জবাবদিহি করে। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ: সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সংসদ সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারী ফান্ড (আইএমএফ) এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান দাইসাকু কিহারার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন,খাদ্য নিরাপত্তা,অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা ও আইএমএফ এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: রুস্তম আলী ফরাজী, বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএমএফ এর আবাসিক প্রতিনিধি র‌্যাগনার গুডমুন্ডসনসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮.১ শতাংশ। রেমিটেন্স ও রিজার্ভও সমান গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে বর্তমান সরকার ।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য বৈষম্য দূর করে দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনবহুল বাংলাদেশের একটা বড় অংশই হচ্ছে তরুণ, তাই বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। তরুণ জনসমষ্টিই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সুষ্টির জন্য কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে বিগত দশ বছর কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। ফলে কর্মসংস্থানবৃদ্ধি, বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সর্বোপরি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তরুণরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই তৈরি করতে পারবে। যে কোন প্রশিক্ষণ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইএমএফ এখন সংসদ সদস্য ও তরুণ জনসমষ্টির দক্ষতা ও সক্ষমতাবৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ শক্ত অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থানকে ধরে রাখতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন। আর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তিনি আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য বাজারজাতকরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ। অতীতের বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটিয়ে বর্তমানে ২০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্প ও কলকারখানা গড়ে উঠছে।

Facebook Comments