বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে ৮ ওভারে ৫৪ রানে ২ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের পর সাকিব উইন্ডিজদের বিপক্ষে করেছেন অপরাজিত ১২৪ রান।
বিশ্বকাপে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি করে সাকিব পাশে বসলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া উইন্ডিজিদের বিপক্ষে ২৩ রান করে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে স্পর্শ করেন ৬ হাজার রানের মাইলফলক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল।
সাকিবের মাহাত্ম্য এখানে শেষ নয়; ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকাতেও সবার শীর্ষে উঠেছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। ৪ ম্যাচে ২ ফিফটি ও দুই সেঞ্চুরিতে সাকিব করেছেন ৩৮৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ করেছেন ৫ ম্যাচে ৩৪৩ রান।
এ ম্যাচ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসান। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও খেলেছেন মাত্র ৯৯ বলে ১২৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে লিটন অপরাজিত থাকেন মাত্র ৬৯ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে।
লক্ষ্য ৩২২ রানের। শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। ক্যারিবীয় বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর তামিম ইকবাল। বিশেষ করে সৌম্য তার সহজাত মারকুটে ব্যাটিংটাই করছিলেন।
কিন্তু অতি আগ্রাসনই যেন কাল হলো। নবম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের প্রথম ডেলিভারিতেই পয়েন্টের উপর দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান সৌম্য। পরের বলে আবার চালিয়ে দেন, স্লিপে ক্যাচ নিয়ে নেন গেইল। ২৩ বলে ২টি করে চার ছক্কায় সৌম্য তখন ২৯ রানে। ৫২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ঝড়ো এক জুটি গড়েন তামিম আর সাকিব আল হাসান। সৌম্য আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ বলেই জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার করেন এই যুগল। ৫৫ বলেই গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটি।তামিমের পর ক্রিজে আসলেন আর গেলেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। থমাসের লেগ সাইডের ডেলিভারি মুশফিকের গ্লাভস স্পর্শ করে হোপের তালুবন্দী হয়। এতে ১ রানেই ফিরলেন মুশফিক।
মুশফিক বিদায় নেওয়ার পর সাকিব আল হাসানকে উপযুক্ত সঙ্গ দিয়ে গেছে লিটন দাস। ৪৫তম হাফসেঞ্চুরিকে শতকে পরিণত করেছেন সাকিব। এনিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৯৬ থেকে ওশানে টমাসকে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার হাঁকিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি করতে ১৩টি চার হাঁকান ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের চতুর্থ সেঞ্চুরি। গত বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার করলেন সাকিব।
মাত্র ৪১.৩ ওভারেই সাকিব-লিটনের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌছায় টাইগাররা। ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। লিটনও ব্যাট চালিয়েছেন সমানতালে, অপরাজিত ৯৪ রানে।
টাইগারদের দুর্দান্ত জয়
Facebook Comments