তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহতদের পরিচয় মেলেনি

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস) ও টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআই আয়োজিত ডিজিটাল জন্ম মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে বিভিন্ন তথ্যমতে ৩৭ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে জেনেছি। তবে এখন পর্য়ন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। আমাদের অ্যাম্বাসেডর সেখানে গেছেন। পরখ করার পর তারা বাঙালি হলে অবশ্যই তাদের লাশ দেশে আনা হবে। পাশাপাশি সরকার সেখানে আহতদের বিষয়েও ভাবছে।
তুরস্কের ৭০ জন বন্দির বিষয়ে দেশটি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, আমি আজই জেনেছি, তাও পত্রিকার মাধ্যমে। তবে যেভাবে নিউজটি প্রকাশ করা হয়েছে তা ইন্টারেস্টিং, তবে এ বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানি না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের জন্ম নিবন্ধন অনেক আগে শুরু হলেও দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত তা ভালো অবস্থানে আসতে পারেনি। এটা না হলে একটি টেকসই অর্থনৈতিক রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করা যায় না। তবে এবার সিআরভিএস ও ইপিআই প্রকল্পেরর মাধ্যমে আমরা ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে পারব। শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই তার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বাড়াতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)-কে আরো তথ্য সমৃদ্ধ করতে জন্ম রেজিস্ট্রেশন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেখানে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। শিশুর ইপিআই টিকাদান কার্ডে এবং রেজিস্টারে নিবন্ধন সনদে ১০ ডিজিট নম্বর উল্লেখের বিধান অন্তর্ভুক্ত হবে। এই ডিজিটে পাওয়া যাবে ছয়টি বিষয়। যেগুলো হলো— জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম, মৃত্যু, মৃত্যুর কারণ, বিবাহ, তালাক এবং পোষ্য।
পাইলট প্রকল্পের মডেল হিসেবে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে কার্যক্রম শেষ হয়। পরবর্তীতে ৮টি বিভাগের ৮টি জেলাকে এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো— রংপুর, কুমিল্লা, খুলনা, মানিকগঞ্জ, ঝালকাঠি, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ ও পাবনা। এসব জেলায় সফলতা পেলে পরে সারা দেশে প্রকল্পটি কার্যক্রম শুরু করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলুফার আহমেদ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও হেলথ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক মুহাম্মদ ফসিউল্লাহ, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্মমৃত্যু রেজিস্ট্রার মানিক লাল, ডা. সুমির কান্তি সরকার, মাহমুদুল হক, এম এ মমিন খান প্রমুখ।

Facebook Comments