জীবন শঙ্কায় সুবীর নন্দী

শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দীর। ফের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। যে কারণে গত রোববার সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৯টায় ওনার হার্টে চারটি রিং পরানো হয়েছে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকা একুশে পদক প্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সুবীর নন্দীর পাশে রয়েছেন তার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।
১৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে অসুস্থ সুবীর নন্দীকে ঢাকা সিএমএইচের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকায় আসার পথে কয়েকবার বমি করেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন গলায়। সিএমএইচে নেওয়ার পর হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনও। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে। ছবির নাম ‘সূর্যগ্রহণ’।
সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান তিনি।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- আমার এ দুটি চোখ, বন্ধু হতে চেয়ে, আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, চাঁদের কলঙ্ক আছে, দিন যায় কথা থাকে, একটা ছিল সোনার কন্যা, হাজার মনের কাছে, কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, পাহাড়ের কান্না, বন্ধু হতে চেয়ে তোমার প্রভৃতি।

Facebook Comments