রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রার সঙ্গে গরমের প্রভাবটাও কমে আসছে। তবে সবার মধ্যেই ফণী আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। ১০ মিনিটি পর বৃষ্টি থেমে রোদের দেখা মেলে। তবে আকাশে মেঘের ঘনঘটা রয়ে গেছে। একইসঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। ফলে কর্মক্ষেত্রে বের হতে অনেককেই বেগ পেতে হয়েছে। বৃষ্টির প্রস্তুতি না থাকায় অনককেই ভিজতে দেখা গেছে।
এদিকে ভোররাত থেকে রংপুরে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফণীর প্রভাবে অপরদিকে রাত থেকেই হবিগঞ্জে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ফণীর আগাম ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনঘণ্টা ব্যাপী এ ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের।
আবাহওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের কোথাও মেঘাচ্ছন্ন, কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। বৃষ্টি আরও দুএকদিন চলবে।
তিনি আরও বলেন, ফণী ভারতের ওড়িশায় পৌনে ৯টার দিকে আঘাত হেনেছে। এ সময় ফোণীর গতিবেগ ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চলছে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বাংলাদেশের ফোণী আঘাত হানতে পারে। তখন তার গতিবেগ কমে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে ফণীর প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার (৩ মে) ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর অথবা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িশায় উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।

Facebook Comments