বিমানবাহী জাহাজে ভয়াবহ আগুন

ভারতের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন নৌ সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডি এস চৌহান।তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। তবে নৌ কর্মকর্তাদের আশঙ্কা রণতরীর একটি জেনারেটর ইউনিটে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
শুক্রবার কর্ণাটকের কারোয়ার উপকূলে করছিলো অবস্থান করছিলো রণতরী বিক্রমাদিত্যে। এ সময় হঠাৎ করেই এতে আগুন ধরে যায়। যদিও এই আগুনের ফলে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজের কর্মীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই ধোঁয়া ও গ্যাসের কারণে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডি এস চৌহান। এরপরই তাকে কারোয়ারের নৌ-সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার জ্ঞান আর ফেরেনি । শুক্রবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় নৌ বাহিনী। কীভাবে এই আগুন লাগল, কোথাও গাফিলতি ছিল কিনা, তাই শনাক্ত করবে ওই কমিটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ভারতীয় নৌ-সেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই রণতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, বারাক মিসাইল-সহ একাধিক ঘাতক অস্ত্র। ১৯৮৭-তে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌসেনায় ‘বাকু’নামে এই জাহাজটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ১৯৯২-তে ‘অ্যাডমিরাল গর্শকভ’নামে এটি অন্তর্ভুক্ত হয় রুশ সেনাবহিনীতে।
১৯৯৬ পর্যন্ত রুশ সেনায় কাজ করার পর, ভারতের কাছে জাহাজটি বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। এই যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকেই ভূমি থেকে আকাশে হামলায় সক্ষম বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা করে ভারত। আরব সাগরে হওয়া এই পরীক্ষায়, খুবই নীচ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বারাক-৮। যার ফলে ভারতের নৌবাহিনী এবং এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

Facebook Comments