জায়ান চৌধুরীর কুলখানি অনুষ্ঠিত

শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত বোমা হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীর কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ আছর রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জায়ানসহ শ্রীলংকার বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন কাশেমী।
এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নাতি জায়ান এবং শ্রীলঙ্কার বোমা হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া চেয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রিন্সকে উপযুক্ত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। আর ছেলে জায়ানের দাফনের দিনটিতেও তার পাশে থাকতে না পারা তার (শেখ সেলিম) মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া অনেক কষ্ট বুকে চেপে স্বামীর শয্যাপাশে অবস্থান করছেন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এমন মর্মান্তিক নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা কারও নেই। কোনো ধর্মে বলা হয়নি যে, হত্যা করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা যায়। ইসলাম ধর্মেও বলা হয়েছে, হত্যা করা মহাপাপ। যারা এভাবে নারী ও শিশুকে হত্যা করে ইসলামকে কলংকিত করেছে- তারা মানুষ নয়। কোনো পশুও এধরনের ঘৃণ্য কাজ করে না।
আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, জায়ান অত্যান্ত মেধাবী ও ধর্মপরায়ন ছিল। বেঁচে থাকলে হয়তো সে দেশের নেতৃত্ব দিতে পারতো, মানুষের কল্যাণ করতে পারতো। আর যেন কোনো পরিবারকে যেন এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয়, আর যেন কোনো বাবা-মায়ের কোল এভাবে খালি না হয়, ধর্মের নামে কোনো হানাহানি-সংঘাত না হয় এবং বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূল হয় সেটাই সবার কাম্য। এসময় নাতির মৃত্যুর পর সহানুভূতি জানাতে আসা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জায়ানের দাদা এম এইচ চৌধুরী, মামা শেখ ফজলে শামস পরশ, সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নুর তাপস, এফবিসিআইসির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ ফজলে নাঈম এবং ছোট চাচা ডিউক চৌধুরীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুলখানিতে অন্যদের মধ্যে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ডা. এস এ মালেক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কাজী আকরাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ,জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

Facebook Comments