নুসরাত হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন আটক

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে সোনাগাজী উপজেলা শহরের উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রুহুল আমিনকে ফেনী পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ন শেষে হত্যার পর থানা-পুলিশ ম্যানেজের দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন। হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন শামীম গত ১৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
পুলিশ, আইনজীবী, আদালত ও পিবিআইর একাধিক সূত্র জানায়, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ২৫ থেকে ২৬ জন জড়িত। দুই আসামির জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন, কাউন্সিলর মুকছুদ আলম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার দুই ছেলেও জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার আগ থেকে তারা বিষয়গুলো জানতেন। আদালতে শাহাদাত হোসেন শামীম ২৫ পৃষ্ঠা এবং নুর উদ্দিন ৩০ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দেন।
জানা যায়, ২৭ মার্চ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ওই মাদরাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। পরে জনরোষে তিনি অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরদিন সোনাগাজী জিরোপয়েন্টে মাদরাসার অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে কাউন্সিলর মুকছুদ আলমের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয় তাতেও ইন্দন দেন রুহুল আমিন।

Facebook Comments