নববর্ষের আগে বৈশাখী ভাতা তুলতে পারলেন না শিক্ষকরা

বৈশাখের আগে বৈশাখী ভাতা তুলতে পারছেন না নড়াইলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এছাড়া মাসের বেতন-ভাতা তুলতেও ভোগান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। এবারই প্রথম বৈশাখী ভাতা দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গত ৯ এপ্রিল ভাতার চেক ব্যাংকে পাঠানো হয়। ব্যাংক হতে ভাতা উত্তোলনের শেষ সময় ছিল ১১ এপ্রিল।
নড়াইল সদর উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জানান, তারা তাদের বেতন-ভাতা রূপালি ব্যাংকের শাখা থেকে উত্তোলন করেন। তবে রূপালি ব্যাংকের নড়াইল শাখায় বৈশাখী ভাতার উত্তোলনের শেষ দিনে (১১ এপ্রিল) বিল জমা দিতে পারেননি তারা। তাদের অভিযোগ, বৈশাখী ভাতার বিল জমা দিতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে ব্যাংক কতৃপক্ষ। পরে আগামী ১৫ এপ্রিল (২ বৈশাখ) বৈশাখী ভাতার বিল জমা নেবে বলে চলে যেতে বলে।
বৈশাখের আগে বৈশাখী ভাতা তুলতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এছাড়া প্রতি মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা তুলতেও ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। বলেন, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে নানা অজুহাতে হয়রানি আরও বেড়ে যায়। এমনকি বিল জমা নিতেও গড়িমসি করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষকরা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে সিরিয়াল দিতে বলা হয়, লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কিন্তু অন্যান্য গ্রাহকদের সিরিয়াল লাগে না। এতে শিক্ষকরা অপমানিত বোধ করেন।
এ বিষয়ে রূপালি ব্যাংকের নড়াইল শাখার ব্যবস্থাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার অর্ডার শিট (হার্ড কপি) এখনও পর্যন্ত হাতে পাইনি। আজ বৈশাখী ভাতা জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও আগামী ১৫ এপ্রিল (২ বৈশাখ) বৈশাখী ভাতার বিল জমা নেওয়া হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে শিক্ষকদের সিরিয়াল ভাঙ্গার অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

Facebook Comments