পতিতাকে আটক করায় ওসি কাজী ওয়াজেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

গত ১৪ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাছে একটি আবাসিক এলাকায় রমরমা দেহ ব্যবসার চালানো অভিযোগে অভিযান চালিয়ে বসে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।সেখান থেকে হাতে নাতে ধরা পড়া বেশ কয়েকজন দেহব্যবসায়ী অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
আসামীদের আদালতে চালান দেয় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।অভিযানের সময় পুলিশকে টাকা দিয়ে আপস মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হলেও পুলিশ তাতে কর্ণপাত না করেই তাদের দায়িত্ব পালন করে।ফলে ঐ দেহব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে থাকা এক নারীর চক্ষুশুলে পরিণত হয় পুলিশ সেদিনের পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন ঐ নারী।পুরোনো ক্ষোভ জমিয়ে রেখে জামিনে বের হয়েই মামলা ঠুকে দেন যাত্রাবাড়ী মডেল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।অভিযোগ তারা সকলেই ঐ নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে! তারমধ্যে মোছাঃ লাইজু নামে যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত একজন “নারী” সাব-ইন্সপেক্টরও আছেন!
সচেতন মহল প্রশ্ন তুলছে নারী পুলিশ কিভাবে মামলার বাদী নারীকে ধর্ষণ করলো?
পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী ওয়াজেদ দীর্ঘদিন যাবত যাত্রাবাড়ী থানার মতন একটি ব্যস্ততম থানায় সুনামের সহিত কর্মরত দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয় অসংখ্য ব্যক্তিদাবি পরিকল্পিত ভাবে ওসি কাজী ওয়াজেদকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল।এই বিষয় ষড়যন্ত্রের শিকার ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন আমার নামে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে আমার দ্বারা এমন কাজ সম্ভব কিনা তা আমার সহকর্মীরাই জানে।
তবুও যিনি আদালতে মামলা করেছেন তার সেই মামলার তদন্তও আইনানুযায়ী চলছে। এটা আদালতের ব্যাপার। আমার বেশী কিছু বলার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের থানা কর্তৃক অনৈতিক অভিযানের তৎপরতা বাড়ানোর প্রেক্ষিতে আমাদের থামানোর একটা অপচেষ্টার অংশও হতে পারে এই মিথ্যা মামলা।

Facebook Comments