প্রচারে নেমে কোমর দুলিয়ে নাচলেন নুসরাত

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ভোট প্রচারে নেমে নেচে গেয়ে ভোটারদের মন জয় করলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
শুক্রবার দুপুরে তিনি বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ এলাকায় প্রচারে গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে মাদলের তালে তালে রীতিমতো কোমর দুলিয়ে নাচলেন।
নুসরাত বলেন,আমি বসিরহাটের মানুষের কাছে শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা নিয়ে এসেছি। আমি এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
এদিন হাসনাবাদের পাটলি-খানপুরে পৌঁছে নুসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে ধামসা মাদলের তালে তালে বেশ কিছুক্ষন নাচেন। তারপর হিঙ্গলগঙ্গের ভেবিয়া মুরারিসাহা এলাকায় গিয়ে মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন ধরেই গান শুরু করেন,তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেবো না…।
স্বভাবতই এদিন নুসরাতকে সামনে থেকে দেখতে ভীড় জমে যায় সভাস্থলে। এই বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নুসরতের অন্যতম প্রতিদ্বন্ধী বিজেপির সায়ন্তন বসু। তবে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ নুসরত।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থী নুসরাত এদিন জানান,এর আগেও আমিও এই বসিরহাটে এসেছি কাজের প্রয়োজনে। কিন্ত এবারে বসিরহাটে এসে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি লাগছে। সাধারন মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলতে পেতে ভীষণ ভালো লাগছে। আমার বিশ্বাস এই কেন্দ্র থেকে মানুষ আমাকে জয়ী করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করবেন।
এদিন তিনি এই নদীবিধৌত বসিরহাট কেন্দ্রে নদীপথেও প্রচার করেন। বসিরহাটের রায়মঙ্গল ও সাহেবখালি নদীতে লঞ্চে করেও প্রচার করেন নুসরাত। নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রার খোঁজ নেন তিনি এবং সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


নুসরাত বলেন,আমার কাজই প্রমাণ করে দেবে, আমি মানুষের জন্য কি করতে পারি। আমি সাধারন মানুষের সেবা করতে চাই।
এদিন নুসরাত বসিরহাট কেন্দ্রের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমার মোবাইল নম্বর রেখে দিন। যে কোনও প্রয়োজনে আমাকে ডাকলেই পাবেন। সাধারন মানুষের সেবা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ বাংলার মেয়েদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের দেখাদেখি কেন্দ্রের মোদিজী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। বাংলা উন্নয়নে অনেক এগিয়ে। আমি সেই উন্নয়নে শরীক হয়ে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই।

Facebook Comments