ধোনির চেন্নাইয়ের জয়

লক্ষ্য ছিল ১৬১ রানের, টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যেটাকে খুব কঠিন বলার উপায় নেই। কিন্তু এই লক্ষ্যও পেরুতে পারল না কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, পর্যাপ্ত উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও। চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচটি জিতেছে ২২ রানে।
রান তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল পাঞ্জাব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন হরভজন সিং। মারকুটে ক্রিস গেইলকে তিনি উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ৫ রানেই। ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মায়াঙ্ক আগারওয়েল ফিরেন শূন্যতে।৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে দলকে ১১০ রানের বড় জুটি গড়ে দেন লোকেশ রাহুল আর সরফরাজ খান। সমস্যা হলো, তাদের ব্যাটিংটা ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মতো ছিল না।৪৭ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৫ রান করে রাহুল যখন ফিরেছেন, ১৫ বলে তখন ৪৪ রান দরকার পাঞ্জাবের। হাতে ছিল ৭টি উইকেট।
কার্যত অসম্ভব সেই লক্ষ্য আর পূরণ করতে পারেননি আরেক সেট ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে তিনি আউট হন। ৫৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৬৭ রান। পাঞ্জাবের ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ১৩৮ রানে।
এর আগে ফাফ ডু প্লেসিরেস হাফসেঞ্চুরি আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ সময়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৬০ রান তুলেছিল চেন্নাই।
শুরুতে অবশ্য চেন্নাইও টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ব্যাটিং দেখাতে পারেনি। শেন ওয়াটসন আর ফাফ ডু প্লেসিস ৪৪ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৫৬ রান। ২৪ বলে ২৬ রান করে ওয়াটসন ফিরলে ভাঙে এ জুটি।
এরপর সুরেশ রায়নাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ১৪তম ওভারে এসে টানা দুই বলে সেট দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৩৮ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ডু প্লেসিস ফেরেন ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে। ২০ বলে ১৭ রান করা রায়না হন বোল্ড। চেন্নাইয়ের রান তখন ১০০, ইনিংসের ৩৮ বল বাকি।
মনে হচ্ছিল, দেড়শর আগেই থেমে যাবে চেন্নাইয়ের ইনিংস। শেষটায় এসে দলকে বাঁচিয়েছেন ধোনি। চতুর্থ উইকেটে আম্বাতি রাইডুর সঙ্গে ৩৮ বলে ৬০ রানের ঝড়ো এক জুটি গড়েন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান, যেখানে রাইডুর অবদান মাত্র ২১ রান (১৫ বলে)।
শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। রাইডুর ২১ রানের ইনিংসে ছিল একটি করে চার-ছক্কার মার।পাঞ্জাবের হয়ে ২৩ রান খরচায় ৩টি উইকেটই নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

Facebook Comments