ওয়াসিমের লাশ কবর থেকে তোলার নির্দেশ

ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এই নির্দেশ দেন।
জানা যায়, ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসের লাশ দাফনের আগে ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তাকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের এ নির্দেশ দেন আদালত। ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রট ও জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে আদালতকে অবহিত করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই গিয়াস উদ্দিন খান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই জানান, এ সংক্রান্ত একটি আদেশ হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে। আদালত একই বিষয়ে সহযোগিতার জন্য অনুলিপি দিয়েছেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সপার, মৌলভীবাজার থানার ওসি এবং নবীগঞ্জ থানার ওসিকে।
এদিকে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, ওয়াসিম হত্যা মামলায় উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদ ও হেলপার মাসুক মিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তারা বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ওয়াসিমকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওয়াসিমকে গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় উদার পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন হেলপার। পরে চালক তার ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নিহত হন ওয়াসিম। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উদার পরিবহনের চালক জুয়েল, হেলপার মাসুক ও সুপারভাইজার সেফুল মিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে সেফুল এখনও পলাতক।ওয়াসিম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্র গ্রামের আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিনের একমাত্র ছেলে।

Facebook Comments