দেশবাংলা ডেস্ক
অনেকেই কিছু দিন পরপর ঠোঁটে বা পাশে এক ধরনের ক্ষত দেখতে পান এবং এর ব্যথায় ভোগেন। একে ঠোঁটে ঘা বলা হয় যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। দেখে নিন ঠোঁটে ঘা হওয়ার কারণ ও কমানোর ৬টি উপায়।
কারণ
যেকোনো প্রকার অ্যাসিডিক ফল খেলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন কমলা, লেবু, আনারস, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। তবে এগুলো খেলে যে ঘা হবেই এমনটা নয়।আমাদের মুখে এক ধরনের কোমল টিস্যু থাকে কোন কারণে এই টিসু ক্ষতিগ্রস্থ হলে এটি হবার সম্ভাবনা থাকে।
যে কোন প্রকার মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গেলে এ রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে এটি হবার সম্ভাবনা থাকে।
যদি কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকে তবে এ রোগ হতে পারে।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধূমপান করলে এটি হবার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।
ঠোঁটে ঘা কমানোর উপায়
তুলসি পাতা
এক মুঠো তুলসি পাতা। ৪-৮ কাপ পানি।
এবার এই পানির মধ্যে তুলসি পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। এবার পানি ছেকে নিয়ে ঘা-র স্থানে লাগিয়ে নিন এবং ২ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
নারিকেল তেল
পরিষ্কার আঙ্গুলে একটু নারিকেল তেল নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান। সামান্য মোম মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
লবঙ্গ তেল
হাফ চা চামচ অলিভ অয়েল
১ টি লবঙ্গ গুঁড়া
কটন বল
গরম পানি
প্রথমে গরম পানি নিয়ে ঘা-র স্থানে ভাব নিন। এরপর লবঙ্গ এবং অলিভ অয়েল একত্রে হালকা গরম করে ঠাণ্ডা করে নিন। কটন বলে তেল নিয়ে ৫ মিনিট ক্ষত স্থানে লাগান।
মধু
মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়া থাকে তাই দিনে কমপক্ষে ৩ বার ঘা-র স্থানে মধু লাগান। এতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ হয়।
অ্যালভেরা জেল
১ টেবিল চামচ অ্যালভেরা জেল ১ টেবিল চামচ পানি
দুটি উপাদান ভালভাবে মিশিয়ে দিনে ৩ বার ক্ষত স্থানে লাগান। এতে ব্যথা এবং জ্বালা ভাব কমে যাবে।
কুসুম গরম লবণ পানি
১/৪ কাপ গরম পানি ১/২ চা চামচ লবণ
এটি ভালভাবে মিশিয়ে দিনে ২ বার ঘা-তে লাগান যতক্ষণ পর্যন্ত সেরে না যায়।
পরামর্শ
ঘা থাকা অবস্থায় এসিডিক খাবার না খাওয়াই ভাল।
ফ্রেশ টক দই খেতে পারেন।
ঘা-তে বেশি হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
