দেশবাংলা ডেস্ক :
ধোঁয়া ওঠা খাসি,গরু বা মুরগির বিরিয়ানি অথবা রোস্ট-রেজালা খেতে পছন্দ করি আমরা সবাই। কিন্তু এই মজাদার খাবারগুলোর প্রধান উপকরণ মাংস নরম বা সিদ্ধ করা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। আর তাতেই বিরক্তির সীমা থাকে না। এই কারণে অনেকে মাংসের যেকোনো খাবার রান্না করাও কমিয়ে দেন।তবে আর নয় চিন্তা খাসি, মুরগি বা গরু যা-ই রান্না করুন না কেন, তার প্রস্তুতি নিতে হবে ঠিক ভাবে। বাজার থেকে মাংস এনে তা গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। রান্নার আগে লবণ দিয়ে হালকা ভাপিয়ে নিতে পারেন মাংস। তা হলে রান্নার সময়ে তা নরমও হবে, রান্নাও তাড়াতাড়ি হবে।এবার ম্যারিনেটের পালা। ম্যারিনেট করার সময়ে ব্যবহার করতে পারেন পেঁপে বা আনারসের টুকরো। আনারস কুরিয়েও মিশিয়ে দিতে পারেন মাংসে। খুব তাড়াতাড়ি মাংস নরম হয়ে যায়।ম্যারিনেটের সময়ে মসলার মধ্যে জায়ফল ব্যবহার করা যায়। জায়ফল গুঁড়োও মাংস খুব তাড়াতাড়ি নরম করে। এছাড়া রান্নারও কিছু নিয়ম আছে। রন্ধনশিল্পীরা বলেন, যে কোনো মাংস রান্না করতে হয় ঢিমে আঁচে।হালকা আঁচে অনেকক্ষণ ধরে কষালেই মাংস নরম হয়ে যায়। গরু বা খাসির মাংস রান্না করতে অন্ততপক্ষে দেড় ঘণ্টা সময় নেয়াই ভাল। এই সময় ধরে কম আঁচে মাংস কষতে থাকুন। পানি দিতে হলে অল্প অল্প করে দিতে হবে তাও গরম পানি।মাংস রান্নার ঘণ্টাখানেক আগে টক দই মাখিয়ে রাখলেই সহজে সিদ্ধ ও নরম হবে। তবে টক দইয়ের পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তা হলেই কাজ হবে ভাল।কোন অংশের মাংস কিনছেন, তার উপরেও কিন্তু নির্ভর করে মাংস শক্ত হবে না নরম হবে। সাধারণত মুরগির ব্রেস্ট পিসের মাংস একটু শক্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ওই অংশের মাংস ম্যারিনেট করতে বেশি সময় লাগবে। তাই বলা যায় রান্নার সময়ে একটু যত্ন নিলে মাংসের স্বাদও বাড়বে কয়েকগুণ ও নরমও সহজে।
