ইসির সমালোচনা বাদ দিন

রোববার (১০ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আয়োজনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদএ মন্তব্য ও আহ্বান জানান।সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন।আমি জানি তিনি যদি এ বিষয়ে বেশি কথা না বলেন, তাহলে ওনার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হতে পারে। এজন্য ওনাকে বলতে হয়। তাই বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। নির্বাচন কমিশন তো সরকার গঠন করে দেয়নি। এই নির্বাচন কমিশন গঠন করার সময় একটি কমিটির মাধ্যমে, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল। সেখানে বিএনপির প্রস্তাবনা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনারও আছেন। অথচ আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনা থেকে কোনো কমিশনার সেখানে স্থান পাননি। আসলে নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। এই হচ্ছে বিএনপির বক্তব্য। জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রচণ্ডভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন তারা নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো প্রশ্ন তুলছে।খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা অনেক পুরনো। ওনার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এই ব্যথা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। এটি কোনো নতুন অসুখ না, এরপরও ওনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।এছাড়া আয়োজনে ডাকসু নির্বাচনে দলের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন,জাতীয় নির্বাচনের বিজয়ে যারা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন, ডাকসুতে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল যে প্যানেল, রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদের পক্ষেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করতে চাই। ছাত্র সমাজকে আমার মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চাই। আগামীকালের নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত যারা আছেন আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-বন্ধু, নেতা-কর্মীরা এই প্যানেলের পক্ষে ভোট চাইবেন। আগামীকালের নির্বাচনে আমরা জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করি।

Facebook Comments