জাজ মাল্টিমিডিয়ার আজিজ ৯১৯ কোটি টাকা পাচার করে

জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজের মালিকানাধীন ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা থেকে ভুয়া রপ্তানি বিল ক্রয় দেখিয়ে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে।এ জাল জালিয়াতির সঙ্গে আজিজ ছাড়াও জড়িত রয়েছেন তার ভাই এম এ কাদের।একইসঙ্গে অর্থপাচারে জড়িত রয়েছেন খোদ জনতা ব্যাংক কর্মকর্তারাও।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের করা মামলায় ইতোমধ্যে আজিজের ভাই এম এ কাদেরকে আটক করা হয়েছে।ভয়াবহ এ অর্থপাচার সম্পর্কে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিঃ,১৪৩, হাজারীবাগ ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে জনতা ব্যাংক লি:, ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা,ঢাকা কর্তৃক রপ্তানি বিল ক্রয় করা হয়। কিন্তু ৪ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসিত হয়নি এরূপ বিলের সংখ্যা ২১৫টি।এছাড়া রিমেক্স ফুটওয়্যার লি:, ঝাউচর, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে জনতা ব্যাংক লি:, ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ঢাকা কর্তৃক রপ্তানী বিল ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু ৪ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসিত হয়নি এরূপ বিলের সংখ্যা ২৪২টি। জড়িত বিলের পরিমাণ ৪৮৫.৩৭ কোটি টাকা। পরবর্তী ৭ মাসে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ পর্যন্ত ২১৫টি বিলের মধ্যে মাত্র ২টি বিলের বিপরীতে ৪.১১ কোটি টাকা প্রত্যাবাসিত হয়েছে।এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; মনিরুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; সাইদুজ্জাহান, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; মুহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি মগরেব আলী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত); জনতা ব্যাংক লি:; খায়রুল আমিন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বারখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; আতাউর রহমান সরকার, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) জনতা ব্যাংক লি:; ইকবাল, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক লি:; একেএম আসাদুজ্জামান, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক; কাজি রইস উদ্দিন আহাম্মেদ, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক লি:; রেজাউল করিম, জিএম, জনতা ব্যাংক লি:; ফখরুল আলম, ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ( জিএম জনতা ব্যাংক লি:); জাকির হোসেন, ডিএমডি, সোনালী ব্যাংক লি: ( জিএম জনতা ব্যাংক লি:)।

Facebook Comments