স্বাস্থ্যের ১১ খাতে দুর্নীতি

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এ সুপারিশ তুলে দেন।স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে,তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত এ প্রতিবেদনে দুর্নীতির ১১টি ক্ষেত্র শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন,এসব দুর্নীতির উৎস বন্ধে ২৫টি সুপারিশও রয়েছে এ প্রতিবেদনে।দুর্নীতি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।কারণ প্রতিকার সময় এবং অর্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।দুদক কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে দুর্নীতি,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।দুদকও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করবে এবং করছে।দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
যেসব সুপারিশ রয়েছে, সেগুলো হলো তথ্য বহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন,মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত,ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ,ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কি-না এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন,চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা,চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারিদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেওয়া যেতে পারে।

Facebook Comments