নির্বাচিতদের নামের গেজেট প্রকাশ

 

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নবনির্বাচিতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আজ মঙ্গলবার রাতে ২৯৮টি আসনে নির্বাচিতদের নাম ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, গেজেট প্রকাশের জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে।রীতি অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়।সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিন পর গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্য পদ খারিজ হবে।সংবিধানের ৬৭) অনুচ্ছেদে- সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া নিয়ে যা বলা আছে-

৬৭। (১) কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি

(ক) তাঁহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পীকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন; (খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন;

(গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা

(ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

(২) কোন সংসদ-সদস্য স্পীকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পীকার- কিংবা স্পীকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পীকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পীকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।’

পদের শপথ

১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে “শপথ” বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।

(২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে ২[* * *] অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।

৩[২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণেনির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।]

(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

এবার প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে, এই আসনে ২ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়া ৩০ ডিস্বেম্বর ভোটের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ৩টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। এর ফলে ২৯৮ আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে কমিশন।

এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা ২৫৯টি সিট, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল ২০, বিএনপি ধানের শীষ ৫, গণফোরাম ২, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩টি আসনে জয় লাভ করেছে।

সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। তারপরের দিন ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে নির্বাচিতরা। আর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জানুয়ারি।

Facebook Comments