শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাই বাড়তি সতর্কতা

শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের আদ্রতা এমনিতেই উধাও হয়ে যায়। তার ওপর আবার বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়ে যায় অনেক বেশি। শীতের আবহাওয়াতে ঘোরাঘুরির কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এমন সময় ত্বকের অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে কিংবা ভুল উপায়ে যত্ন করলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা তো দেখা দেয়ই সাথে আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং নানান জীবাণু এই সুযোগে মারাত্মক প্রভাব ফেলে ফেয়। জেনে নেয়া যাক শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় কিছু সতর্কতা ও প্রস্তুতি
সাবধানতা:
কিছু সাবধানতা এবং সাধারণ নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
সব সময় সুষম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খান।
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না।
দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে রোগজীবাণু প্রবেশ করে ডায়রিয়া-আমাশয় হতে পারে।
বাসি-পচা বা রাস্তার খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফাস্টফুড স্ন্যাক্স এড়িয়ে চলুন।
বিশুদ্ধ পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে। প্রয়োজনে হালকা গরম পানি পান করুন।
কোনো নির্দিষ্ট খাবারে এলার্জি থাকলে তা পরিহার করুন।
ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। ধূমপান শরীরের সর্ব অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে।
নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন, এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
অযথা চোখ কচলানো, গালে-নাকে হাত দেয়ার ফলে হাত থেকে জীবাণু সংক্রমিত হয়ে চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সর্দি হলে নাক পরিষ্কারের জন্য কাপড়ের রুমালের পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর টিস্যু নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন। আপনার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আপনার দায়িত্ব।
ঘর পরিষ্কার রাখুন, যাতে ধুলোবালি না জমে। চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত পরিষ্কার করে দীর্ঘক্ষণ রোদে শুকাতে দিন। কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। বিশেষত শোবার ঘরে। কারণ কার্পেটের ফাঁকে জমে থাকা ধুলো শ্বাসনালীর রোগ বাড়ায়। একই কারণে রোমযুক্ত বালিশ, চাদর, লেপ-কাঁথা ব্যবহার করা উচিত নয়।
দরজার বা ফ্রিজের হাতল, ফ্যান-লাইটের সুইচ, টেলিফোন, টিভির রিমোট কন্ট্রোল সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা। জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত এসব স্থান পরিষ্কার রাখুন। রান্না করার সময় ধোঁয়া যাতে ওখান থেকে বেডরুম বা ড্রইংরুমে আসতে না পারে সে জন্য রান্নাঘরের জানালা খোলা রাখুন।

Facebook Comments